শবে বরাতে হালুয়া রুটি খাওয়া বা তা পালন করা নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহকে প্রশ্ন করা হয়...
শবে বরাত কি বিদআত ?
শায়খ আহমাদুল্লাহ : শবেবরাত উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকতা করা, শিন্নি দেওয়া, হালুয়া বিতরণ করা নিয়ে একটা জাল হাদীস বানাইছে যে, নবীজির দাঁত ভাঙ্গছে এর জন্য হালুয়া খাইছে এজন্য আমরাও হালুয়া খাই। কত বড় ছিটারি আপনি চিন্তা করেন, আপনার বাবার পা ভেঙ্গেছে। এর জন্য উনি একটা লাঠি নিয়ে খুঁড়িয়ে হাটে। এখন আপনি বলছেন, উফ আমার বাপে শত্রুর সাথে লরাই করতে যেয়ে পা ভেঙ্গে ফেলেছে। অতএব বাপের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করতে যেয়ে আমার ভালো পা নিয়ে লাঠিয়ে দিয়ে খুঁড়াইতেছি। আপনার বাপে ঐ লাটিটা দিয়ে আপনার মাথায় বারি মারবে কি মারবেনা? বলবে, বেয়াদ্দপ তুই আমাকে ভেঙ্গাইতেছছ...?
যদি নবীজির দাঁত ভাইঙ্গা হালুয়া খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনিও দাঁতটা ভাঙ্গেন, তারপর হালুয়া খান। আপনি ভালো দাত নিয়া হালুয়া খাইতেছেন, এর থেকে বাটপারি আর কিছু হতে পারে...! আর উহুদের যুদ্ধ কি শাবান মাসে হইছে? আপনি এইটা কোথায় পেলেন? এগুলো হালুয়া খাওয়ার জন্য মাসালা বানাইছে।
শবে বরাতের আমল
ভাইয়েরা আমার, শবে বরাত কেন্দ্রিক রাত্রি জাগরন, দিনি ইবাদত এবং আরো যে কাজ আছে এগুলো কোনটি বিশুদ্ধতা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। তবে বিভিন্ন হাদিস থেকে এইটা জানা যায় যে, এই রাতে আল্লাহ তায়ালা হিংসুক এবং শিরিক কারি ছাড়া বাকিদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন।
শবে বরাতের রোজা কয়টি
যেহেতু শাবান মাস নফল রোজার মাস। তাই অন্য দিনের মত নফল রোজা রাখতে পারেন। তবে শবে বরাতের জন্য স্পেশাল রোজা রাখা বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত না।
শবে বরাত নিয়ে বহুৎ মারামারি-কাটাকাটি আছে। দুঃখের বিষয় সমাজে নামাজের খবর নেই, হাজার হাজার হারামের কাজ চলতেছে, সেখানে সবাই মারামারি শবে বরাতে হালুয়া রুটি খাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে। আল্লাহ আমাদের বোঝার তৌফিক দান করুক।
জীবন ঘনিষ্ঠ অন্যান্য প্রশ্ন সমূহঃ
জানুনঃ ফরজ গোসল করার সঠিক নিয়ম ।