প্রশ্নঃ সহবাসের পর ফরজ গোসল না করে মেয়েরা গৃহস্থলী কাজ করা বা শিশুকে দুধ পান করানো যাবে কি না?
উত্তরঃ সহবাসের পর গোসল না করা পর্যন্ত নিন্মে উল্লেখিত পাঁচটি কাজ করা নিষেধ,
(১) নামাজ পড়া নিষেধ(২) তাওয়াফ করা নিষেধ(৩) মসজিদে অবস্থান করা নিষেধ(৪) কোরআন স্পর্শ করা নিষেধ(৫) কোরআন পড়া নিষেধ
এই পাঁচটি কাজ ছাড়া আর কোন কাজ নিষেধ না। অতএব সহবাসের পরে মহিলা জন্য ফরজ গোসল না করে গৃহস্থলী কাজ করা, রান্নাবান্না করা, শিশুকে দুধ পান করানো জায়েজ।
আমাদের দেশে যত কঠোরতা সব মেয়েদের উপরে, ছেলেদের উপরে নাই। ছেলে গোসল ফরজ হওয়ার পর দুই-চার ঘণ্টা শুয়ে আছে, বাহিরে হাঁটাহাঁটি করছে, তাকে কেহু কিছি বলছেনা। সমস্ত চাপগুলা মেয়েদের উপরে। আর মেয়েদের উপর এই ফতোয়া গুলো দেয়ও বেশীরভাগ মেয়েরাই। কথার কথা, ননদ আছে, শাশুড়ি আছে বা জাল আছে, তারা খুঁচাতে শুরু করে; গোসল না করে বাচ্চাকে দুধ খায়াচ্ছে কেন? বাচ্চা কান্না করতে করতে মরে যাওয়ার অবস্থা কিন্তু দুধ খাওয়ায় না। কারন গোসল করে নাই।
এগুলো না জানার কারনে হইছে।
ফরজ গোসল দেরিতে করতে চাইলে আপনার করণীয়ঃ
কোন কারনে আপনি যদি ফরজ
গোসল একটু দেরিতে করতে চান, একটু ঘুমিয়ে নিতে চান বা অন্য কোন কাজ করতে চান তাহলে অন্য
কাজ শুরু কারার পূর্বে অজু করে নিবেন। একবার আবু হুরায়রা (রাঃ) এর গোসল ফরজ হওয়া অবস্থায়
রাস্তার মধ্যে রাসুল (সঃ) এর সাথে দেখা হয়েছিল, আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসুল (সঃ) কে দেখে
এড়িয়ে চলে গেছেন, একপ্রকার পালিয়ে যাওয়ার মত। যেয়ে তাড়াতাড়ি গোসল করে আসলেন। রাসুল
(সঃ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) তুমি কোথায় গিয়েছিলে? আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ
ইয়া রাসুল আল্লাহ আমার গোসল ফরজ হয়েছিল। আপনার সাথে বসব, সময় দেব অপবিত্র অবস্থায়?
রাসুল (সঃ) বললেনঃ মুমিন আবার নাপাক হয় নাকি! আয়সা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল রাসুল
(সঃ) সহবাসের পরে গোসল না করে ঘুমাতেন কি না? আয়সা (রাঃ) বলেনঃ অজু করে ঘুমাতেন। অন্য
এক বর্ণনায় এসেছে অজু করা ছাড়াও ঘুমাতেন।
সকল বর্ণনা সামনে রেছে একথা বলা যায়, অজু করা ছাড়াও অন্যান্য কাজ করা যায়। তবে অজু করে নেওয়া উত্তম।